এসএসসি নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসি ফলাফল
শিক্ষা ডেস্ক, ঢাকাঃ ইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে অবশেষে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাতিল পরীক্ষার ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র এসএসসিতে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি ও সমমানের যে সব পরীক্ষায় প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্র অবশ্যই পূর্ণমানের মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি করতে হবে। এবং যেসব বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়নি, সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফলাফল প্রস্তুত করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে এ দুটি নির্দেশনা মেনে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রস্তুত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার চিঠিতে দেওয়া নির্দেশনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিঠিটি পেয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। এরপর ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশের তারিখ জানাতে পারব।
কবে নাগাদ ফলাফল প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিগগিরই আমরা ফল প্রকাশের সম্ভাব্য কয়েকটি তারিখ ঠিক করব। তাদের জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারিখ চূড়ান্ত করে প্রস্তাব অনুমোদন করা হবে। তারপর আমরা অবশেষে ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করতে পারি
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- পরীক্ষার ৮ দিন পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সময়সূচি অনুযায়ী- ৩ দিন মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের দাবিতে অনেক পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তাদের আদায়কৃত ফি ফেরত দেওয়া হবে। বোর্ড প্রার্থীদের তত্ত্ব বা লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রতি পেপারে ৮০ টাকা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি পত্র বা বিষয়ের জন্য ৪৫ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।